ছাত্রদলের ক্যাডার ভিত্তিক রাজনীতির সাথে জড়িত সানাউল্লাহ বিএনপি সরকার আমলে ততকালীন স্থানীয় এমপির সহযোগিতায় গণপূর্ত অধিদপ্তর, কক্সবাজারে হিসাব সহকারী হিসেবে নিয়োগ লাভ করে। রাজনৈতিক কর্মী হওয়ায় অফিসে হাজিরা দিয়েই নিয়মিতভাবে রাজনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে যায়।
সরকারি চাকরিতে কর্মরত থাকা অবস্থায় জড়িয়ে পড়ে ডেসটিনির সাথে। গণপূর্তের বড় কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে এলাকার হাজারো মানুষকে ডেসটিনির জালে জড়িয়ে ফেলে। সে বনে যায় ডেসটিনির পিএসডি। তাকে বিশ্বাস করে সহজ সরল হাজারো মানুষ তাদের সঞ্চয় হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যায়।
রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় এবং গণপূর্তের বড় কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে এলাকায় শুরু করে নতুন ত্রাস। তারই পৃষ্টপোষকতায় এলাকাটি পরিণত হয় মালেয়েশিয়া মানবপাচারের সি পোর্ট। এলাকার চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ী, মানবপাচারকারীর সাথেই তার উঠাবসা। তার নেতৃত্বেই জাহেদ বাহিনী, আনছার বাহিনী ও নান্নু বাহিনী এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে যাচ্ছে।
নামে-বেনামে এবং অন্যের সাথে শেয়ারে তার রয়েছে প্রচুর জমিজমা, বাড়ি-গাড়ি ও ব্যাংক ব্যালেন্স। কক্সবাজারে আলিসান ফ্লাটে ভাড়া করে থাকে। একজন তৃতীয় শ্রেণীর সরকারি কর্মকর্তার জীবন যাপনের সাথে তার জীবনযাপন কোনভাবেই মেলানো যায়না। জনশ্রুতি আছে তার মাসিক খরচই কয়েক লাখ টাকা। নিজের অবৈধ টাকায় এলাকার ফুটবল মাঠে কয়েকটি বড় টুর্নামেন্ট আয়োজন করে সফল ক্রীড়াবিদের পরিচয় দেয়।
Leave a Reply